_.jpg)
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেরা ১৪ কর্মীকে সম্মাননা দিয়েছে যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ। ২০১৭ সালের কর্ম মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো এ পুরষ্কার দেয়া হয়েছে।
তিনটি ক্যাটাগরিতে দেয়া এই সম্মাননায় রেলওয়ের বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা অংশ নেয়। দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে রেলওয়ে সেবার মান বাড়াতে কর্মীদের সম্মাননা প্রদানের এ আয়োজন আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
বুধবার বিকালে পাহাড়তলী এমএস হক মিলনায়তনে আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) মো. মিজানুর রহমান। বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী রাজীব কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত যান্ত্রিক প্রকৌশলী পার্থ সরকার, পাহাড়তলী বিভাগীয় ওয়ার্কশপ তত্ত¡বধায়ক ফকির মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী (আইসি) ফাল্গুনী চৌধুরী। তাছাড়া অন্যদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আবুদল মাবুদ, বজলুর রহমান এবং সম্মান পদক পাওয়াদের মধ্যে মো. সামসুদ্দিন মজুমদার বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেরা ১২ কর্মীকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের স্বপন কুমার সেন, আব্দুল কাদের, শাহিনুর আলম, মেকানিক্যাল বিভাগের জামাল হোসেন ভূঁইয়া, মো. শাহ আলম, মো. সেলিম, বকতিয়ারুজ্জামান এবং লোকো বিভাগের ট্রেন চালক মো. মাকসুদুল আলম, মো. মাহবুবুল আলম, মো. সামসুদ্দিন মজুমদার, মো. শাহ আলম, মো. হাবিবুর রহমান, সুমন চাকমা ও মো. আবুল হোসেনকে ২০১৭ সালের কর্ম দক্ষতা, মূল্যায়ন পর্যালোচনার ভিত্তিতে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়।
বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগ (লোকো) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিএমই মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্বল্প জনবলের মধ্যেও রেলের কর্মীরা তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করে কোচ, ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রেখে চলেছে। নানান সময়ে রেল পরিচলনা ও রক্ষণাবেক্ষণে রেল কর্মীরা শাস্তির মুখোমুখি হলেও কাজের স্বীকৃতি পায় না। রেলের প্রকৌশল বিভাগ প্রথম বারের মতো কর্মীদের প্রণোদনা প্রদানে কাজ শুরু করেছে। আগামীতে এ ধরনের আয়োজনের ব্যাপ্তি বাড়ানো হবে।’
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রেলওয়েকে আরো শক্তিশালী ও আধুনিকভাবে পরির্বতনের আলোকে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এমপি ও রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা কাজ করে আসছেন। এতে রেলওয়ের স্ব স্ব বিভাগের দায়িত্বশীলরাও কর্ম ও দক্ষতার সাথে কাজ করছে। অনেকেই সম্মাননা পুরস্কারও পাচ্ছেন। তবে মন্ত্রী ও ডিজির নির্দেশায় চলাচলরত ট্রেনে, রেলের স্থাপনায়সহ নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিনিয়ত কঠোর মনিটরিং ও নজরদারিতে রেখেছেন দায়িত্বশীলরা।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন
