ডাকাতি করা মালামালের ভাগাভাগি নিয়ে সহযোগীদের হাতে খুন হয়েছিলেন কামাল ডাকাত। সহযোগী দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করার পর ৮ মাস আগে সংঘটিত সেই হত্যাকাণ্ডের জট খুলতে বসেছে। গত বছরের ১৭ জুলাই সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাসেমনগর এলাকায় কামালের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, কামাল নগরীর পাহাড়তলী থানার বৌবাজার পানির কল এলাকায় ভাড়া বাস থাকতেন। তিনি নোয়াখালীর সুধারাম থানার গৌরীপুরের শওকত আলীর ছেলে। কামাল একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় ডাকাত দলের সদস্য মো. জসীম উদ্দিন ও মো. ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, বাড়বকুণ্ডে ডাকাতির পর মালামাল ভাগ করা নিয়ে সহযোগীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে কামালকে গুলি করে খুন করা হয়। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ কোনো আসামির খোঁজ না পেয়ে ওই বছরের ১৬ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত তা গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য পিআইবিকে নির্দেশ দেন। পিআইবির তদন্ত কর্মকর্তা বশির আহমদ খান কামালের সহযোগীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালান। পিআইবির ইন্সপেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমানের প্রযুক্তি সহায়তায় গতকাল শনিবার কুমিল্লার ময়নামতি থেকে আত্মগোপনে থাকা ডাকাত দলের সদস্য মো. জসীম উদ্দিন ও চকরিয়ার কাকারায় আত্মগোপনে থাকা মো. ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করেন। তারা দুইজনই আন্তঃসড়ক ডাকাতদলের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ দুই ডাকাত কামালের সঙ্গে ঘটনার দিন রাতে ডাকাতি করতে যায় বলে স্বীকারোক্তি দেন।
বিডি-প্রতিদিন/০১ এপ্রিল, ২০১৮/মাহবুব