শিরোনাম
২৫ এপ্রিল, ২০১৮ ১৮:৫৪

চমেক হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে 'অগ্নিমূল্য'

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

চমেক হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে 'অগ্নিমূল্য'

ফাইল ছবি

সাধারণত ১০টি ট্যাবলেটের এক ফাইল ফলিসন ওষুধের দাম তিন টাকা। কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে ১০ টাকা। অন্যদিকে, ১০টি ট্যাবলেটের এক ফাইল ওমেপ ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের মূল্য ৪৫ টাকা হলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকায়।  

এভাবে চমেক হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে অগ্নিমূল্যে। ফলে ঠকছেন ক্রেতারা, বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে রোগীদের, দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও রোগীর স্বজনরা। ফার্মেসি কর্তৃপক্ষ ভঙ্গ করছে হাসপাতালের সঙ্গে করা চুক্তি।

অথচ নিয়ম মতে, ন্যায্য মূল্যের এই ওষুধের দোকানে সাধারণ ফার্মেসি থেকে ১৫ শতাংশ কম মূল্যে ওষুধ বিক্রি করার কথা সাইন বোর্ডেই লেখা আছে। তবুও নানাভাবে ক্রেতাদের অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে হচ্ছে ওষুধ।

আজ বুধবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় প্রশাসনিক ব্লকে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে মূল্য অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ করেন রেজাউল করিম নামের এক রোগী। অভিযোগটি গণশুনানির ১০ নং তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এ নিয়ে ফার্মেসি কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘আগে থেকেই  আমরা এই ন্যায্যমূল্যের দোকানের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে আসছি। এবার লিখিত একটি অভিযোগ আসল। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ফার্মেসিকে ওষুধ বিক্রির ১০টি ডুপলিকেট বই এবং  কম্পিউটারে বিক্রিত ৫০টি সফট কপি আগামী তিনদিনের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাবরে জমা দিতে বলেছি। আমরা এসব ডকুমেন্ট যাচাই-বাচাই করব। তারপর এ ব্যাপারে নিয়ম  মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’  

আজ বুধবার দুপুরে হাসপাতালের নিচে অবস্থিত ন্যায্যমূল্যের দোকানের  সামনে অবস্থান করে দেখা যায়, ক্রেতাদের ক্রয় রশিদ দেওয়ার কথা থাকলেও অনেককেই দেওয়া হচ্ছে না। অনেকের কাছ থেকে আবার স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। আনোয়ারা বেগম নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘গত তিন দিন ধরেই এই দোকান থেকে ওষুধ কিনতেছি। একবারও ক্রয় রশিদ দেয়নি। আমিও কখনো চাইনি।’

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর