কোটা আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতিকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এর আগে এক শিক্ষার্থীকেও মারধর করে জখম করে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা ও আলাওল হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, এস এম মেহেদী হাসান নির্ণয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। মীর্জা ফখরুল ইসলাম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ২০১২-১৩ সেশন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি।
জানা যায়, মেহেদী হাসান কোটা আন্দোলন নিয়ে বেশ কয়েক বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়ায় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে নির্ণয় পালিয়ে জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পুলিশ বক্সে গিয়ে আশ্রায় নেয়। সেখানেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা যায়। এছাড়া ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মীর্জা ফখরুল ইসলামও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার অভিযোগ এনে আলাওল হলের সামনে তাকে মারধর করে। পরে তাকে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে চবি মেডিকেলে নিয়ে যায়।
মারধরের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ আলম বলেন, মেহেদী হাসান ও মীর্জা ফখরুল ইসলাম তাদের কোটা আন্দোলনের গ্রুপে ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করে তাই সাদাফ কবির, মামুন, জোবাইয়ের, শহীদ, সাব্বিরসহ শাখা ছাত্রলীগের আরো কিছু নেতা-কর্মীরা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা (এস আই) সবুর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জিরো পয়েন্ট এলাকায় ও আলাওল হলের সামনে পৃথক পৃথক ভাবে মেহেদী হাসান ও ফখরুল নামের দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করি। পরে তাদের সেখান থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন