চকলেটের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিত ওই শিশুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ রবিবার দুপুরে নগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজার এলাকার মতিঝর্ণা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মো. হারুন উর রশিদ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরবর্তিতে তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। গ্রেফতার হওয়া হারুন ওই এলাকায় তরকারি বিক্রি করতেন।
খুলশী থানার ওসি শেখ নাসের উদ্দিন বলেন, ‘শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ হারুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারের আগে স্থানীয় লোকজন তাকে গণধোলাই দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হবে।’
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর প্রতিবেশী কোহিনুর আকতার নামে এক নারী বলেন, দুপুরে খাওয়ার পর খেলতে বের হয় ১২ বছর বয়সী ওই শিশু। পথে পূর্ব পরিচিত হারুন তাকে চেতনানাশক ঔষধ মেশানো চকলেট খেতে হয়। ওই চকলেট খেয়ে সজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে শিশুটিকে হারুনের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। হারুন ঘরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বাবা-মা গিয়ে হারুনের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনগন হারুনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্স করে।
চমেকের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফয়সাল কবির রোজার বলেন, ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এরই মধ্যে তার একটি অপারেশন হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার