চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদস্থ আধুনিক দৃষ্টিনন্দন জাম্বুরি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে আগামীকাল শনিবার ৪টায়। এ আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন পার্কের উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। এ জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
উদ্বোধনের পরের দিন থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য বিনা ফিতেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানান জাম্বুরি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আবদুল্লাহ নূর।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, স্থাপত্য অধিদফতরের নকশায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে জাম্বুরি পার্কের। এ জাম্বুরি পার্কের সীমানা প্রাচীরের সৌন্দর্যবর্ধন ও অন্যান্য ধোয়ামোছাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ। পার্কে নিরাপত্তার জন্য ১৪টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা হচ্ছে, পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং পার্কের ভেতর কোনো ধরনের বাণিজ্যিক দোকানপাট থাকবে না। তাছাড়া জলাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় এনে সড়ক থেকে তিন-সাড়ে তিন ফুট উঁচু করা হয়েছে পার্কটি।
খালেদা বেগম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, চট্টগ্রামের এ জাম্বুরি মাঠ এখন বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে। কেউ নিজের চোখে না দেখলে এতো সুন্দর বুঝার ক্ষমতা নেই। বিনা ফিতে উন্মুক্ত করার বিষয়টিও আমাদের জন্য আরো ভাল হয়েছে। অবসর সময়ে একটু বিনোদনে আশায় এ পার্কে আসা যাবে বলেও জানান তিনি।
গণপূর্ত সূত্রে জানা যায়, দৃষ্টিনন্দন এ পার্কটি ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় আট একরের আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ জুড়ে গড়ে উঠেছে। পার্কটিতে গড়ে তোলা হয়েছে সাড়ে তিন ফুট গভীরতার অনেকটা অ্যামিবা আকৃতির বিশাল লেক। এর পাশ ধরে লাগানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফলদ ও বনজ গাছ। লেকের ধারেই পার্কের মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপন করা হয়েছে সুবিশাল ফোয়ারা। ওয়াকওয়ে গুলোর স্বল্প পরিসরে রাখা হয়েছে বসার স্থান। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ মাঠটি কৃত্রিম লেকের মাধ্যমে বিনোদন স্পটে পরিণত করেছে। লেকের দুই পাড়ে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ফুলের গাছ।
এসব গাছের মধ্যে রয়েছে শিউলি, নাগেশ্বর, সোনালু, টগর, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, রাধাচূড়া, কাঁঠালচাঁপা, বকুল, মৌ সন্ধ্যা, নয়নতারা, জারুলসহ বিভিন্ন ফুলের গাছ। লেকের ধার দিয়ে চলে গেছে পায়ে চলার পথ, যা ব্যায়াম এবং হাঁটার উপযোগী। থাকবে ড্যান্সিং লাইট, দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা ও একাধিক ঝরনা। নির্মিত হবে ক্যাফেটেরিয়া, আকর্ষণীয় গ্লাস ব্রিজসহ ১৩৮টি সিটিং বেঞ্চ। থাকবে গণশৌচাগার ও গভীর নলকূল। দৃষ্টিনন্দন সীমানা প্রাচীর ও ৬টি প্রশস্ত গেট। থাকছে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থাও। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর