যুবলীগকর্মী মো. মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হাজী ইকবাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, মহিউদ্দীন হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাজী ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গত ২২ জুলাই যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দীন হত্যায় হাজী ইকবালসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বন্দর থানা পুলিশ। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল, তার ভাই মুরাদ, বিপ্লব, ডিউক, আজাদ, শেখ মহিউদ্দিনসহ মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে ৯ জন কারাগারে ছিলেন। হাজী ইকবালসহ অন্য আসামিরা পলাতক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ নগরের সল্টগোলা ক্রসিংয়ের মেহের আফজাল উচ্চবিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি সভা চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে যুবলীগকর্মী মো. মহিউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।
মহিউদ্দিন দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। তাদের বিরোধী পক্ষে ছিলেন জাতীয় নির্বাচনে বন্দর আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল। যিনি ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘হায় মুজিব হায় মুজিব’ মাতমে নিজের শরীর থেকে কথিত রক্ত ঝরানোর চেষ্টায় জিঞ্জির চাকু দিয়ে আঘাত করে শিয়াদের মতো মাতম করে আলোচনায় আসেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম