দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তার সদিচ্ছায় চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামের স্বক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বে টার্মিনালের জমি অধিগ্রহণের জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে চেক হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মোহনা হলে বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন ও চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
নৌমন্ত্রী বলেন, বন্দর তার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গত ১০ বছরে নিজস্ব অর্থে ৪ লাখ বর্গমিটার ইয়ার্ড নির্মাণ করেছে। অভ্যন্তরীণ ১ হাজার ২০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেন এসেছে, সাতটি এ বছরের মধ্যে আসবে। ৩ হাজার জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, টাগবোট, অ্যাম্বুল্যান্স শিপ কেনা হয়েছে। কারশেড, অকশন শেড নির্মাণসহ সিটিএমএস, ভিটিএমআইএস চালু হয়েছে। বন্দরের রিজার্ভ এখন ১৪ হাজার কোটি টাকা। বে টার্মিনালের জন্য ৩৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে জমি অধিগ্রহণের জন্য।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার দেশবাসীর জানা আছে। তার নেতৃত্বে ২০১৫ সালে পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে। গণতন্ত্রের নামে মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন। এখন নির্বাচনে না এসে পালাবার পথ খুঁজছেন। কারণ মাঠে নামলে জবাব দিতে হবে। পঁচাত্তরের খুনি, যুদ্ধাপরাধী, বাংলা ভাইদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না মানুষ।
এমএ লতিফ এমপি বলেন, একেকটি টার্মিনাল একেকটি বন্দর। তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ, ভারী যন্ত্রপাতি সংগ্রহ মিলে এ সরকারের নৌমন্ত্রীর সাফল্য অনেক বেশি।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা, দাবি ছিল বে টার্মিনাল নির্মাণ। এটি আজ আলোর মুখ দেখছে। বন্দরের সক্ষমতা ফুরিয়ে যাচ্ছে। বে টার্মিনাল সেই সংকট দূর করবে।
বিডি-প্রতিদিন/১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮/মাহবুব