চট্টগ্রাম নগরে লালখান বাজার এলাকার ম্যাগনিফিসেন্ট হিল সাইড আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সাঈদ হোসেন (৩৫)। গত ১৭ সেপ্টেম্বর নগরের ইপিজেড থানাধীন নিউমুরিং বোবা কলোনী এলাকায় ভগ্নিপতির বাসায় বেড়াতে যান তিনি। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের আটদিন পর মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় সাঈদের লাশ। গতকার বুধবার রাতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
নিখোঁজের ঘটনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী ফরিদা আক্তার ইপিজেড থানায় এরফান উদ্দিন কবির (২৬), আরমান কবির (২৪), সুরাইয়া বেগম হিনা (২৩), নাজমুন নাহার (৪৫), মোহাম্মদ জিকু (২২) ও পিয়া আকতারের (১৮) বিরুদ্ধে জিডি করেন। মরদেহ উদ্ধার করার পর তাদের নামে মামলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সাঈদের দুই চাচাত বোনের স্বামী ইরফান ও জিকু এবং ইরফানের বড় ভাই আরমানকে গ্রেফতার করেছে।
ইপিজেড থানার ওসি মীর নুরুল হুদা বলেন, ‘ইরফানের সঙ্গে সাঈদের আর্থিক লেনদেন ছিল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইরফান সাঈদকে তার লালখান বাজারের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এই ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর ইপিজেড থানায় সাঈদের স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলার পর মঙ্গলবার ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ইপিজেড থানার এসআই মো. আশরাফ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি সাঈদ ইরফান ও জিকুকে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু টাকা ধার দিয়েছিল। টাকা পরিশোধ না করতেই মূলত তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। যে ভবনের পাশ থেকে সাঈদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি ইরফানের বড় বোনের, যেটির দেখা-শোনা করতেন ইরফান।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার