নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় তিন আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আব্দুল হালিম এ আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ গঠন করে আগামী ৮ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে। মামলার তিন আসামি হলেন হানিফ পরিবহনের বাসের চালক জামাল হোসেন, চালকের সহকারী ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার জনি।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. আইয়ূব খান বলেন, ‘দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা, ২০১ ধারায় হত্যার পর লাশ গুম এবং অপরাপ্রবণতার অভিযোগে ৩৪ ধারায় তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আদালত বিচার শুরুর আদেশ দিয়ে ৮ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।’
প্রসঙ্গত, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র পায়েল চট্টগ্রামের হালিশহরের গোলাম মাওলার ছেলে। ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে একটি পরিবহন বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছিলেন। ভোরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। ২৩ জুলাই সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচে খালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় তার মামা গোলাম সোরয়ার্দী বিপ্লব তিনজনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অই পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এলাকা এবং আরামবাগ থেকে চালক জামাল হোসেন এবং হেলপার ফয়সালকে গ্রেফতার করে। ২৬ জুলাই চালক জামাল হোসেন মুন্সীগঞ্জের একটি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চালক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, বাসের অটো দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে পায়েল রাস্তায় পড়ে যায়। এতে তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে মারা গেছে ভেবে তাকে পাশের ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে তারা ঢাকায় চলে আসেন। মামলাটি বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর