চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মরিয়ম বেগমকে ভর্তি করা হয় গত শনিবার। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে বুধবার পর্যন্ত কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। এদিকে গত পরশু একটি স্যালাইন চাইলেও পাইনি।
রোগীর ভাই দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও ওষুধ পাইনি।
অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শামীম রাজা (৬২) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন চমেক হাসপাতালে। পাঁচদিন ধরে হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসা চলছে। ভর্তিকালীন হাসপাতাল থেকে ওষুধ সরবরাহের (মজুদ থাকা সাপেক্ষে) কথা থাকলেও তার ভাগ্যে প্রতিদিন জুটেছে মাত্র দুটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ।
এভাবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর জন্য ওষুধ সরবরাহ না করার অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। বুধবার দুপুরে হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এ সব অভিযোগ করা হয়। এ সময় শামীম রাজাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজল কান্তি দাশ, তথ্য বিভাগের ইনচার্জ মো. আবদুল হক মিয়া, উপ সেবা তত্ত্বাবধায়ক শিখা বিশ্বাস, ওয়ার্ড মাস্টার মো. মঞ্জুর রহমান, আনসার সদস্য মো. রবিউল হক প্রমুখ।
গণশুনানিতে বাঁশখালীর বাসিন্দা আবু সাদেক নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘দালালের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তারা হাত থেকে রোগীর ব্যবস্থাপত্র নিয়ে নিতে চায়।’
রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা মো. সেকান্দর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডে পরীক্ষার নাম লিখে দেওয়া হয়। পরে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা না করালে হয়রানি করা হয়।’
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, রোগীর সেবা নিশ্চিতে গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। যাতে অভিযোগগুলো পেয়ে তা সমাধান করা যায়। আমরাও অভিযোগগুলো সমাধানের চেষ্টা করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালে হাজার হাজার মানুষ আসেন। তাদের মধ্যে কে দালাল-চেনা মুশকিল। এক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হতে হবে। অপরিচিত কেউ সাহায্য করতে চাইলে সুযোগ দেওয়া যাবে না। হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্রে গেলে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া যাবে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন