চট্টগ্রামের একটি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র দক্ষিণ জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। সাতকানিয়া থানা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাইয়ে দেয়ার জন্য জেলার সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনের নামে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা নোমান-ইদ্রিসহ কয়েকজন নেতার টাকা লেনদেনের বিষয়ে কথাগুলো অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। এসব বিষয়ে জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে কৌশলী ভূমিকা রাখছেন জেলার নেতারাও।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ জেলার সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় মার্চের প্রথম দিকে। এ কমিটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানারকম আলোচনা শুরু হয়। এরপর কিছু দিনের মধ্যেই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কিছু নেতাদের মধ্যে শুরু হয় মোটা অংকের টাকার লেনদেন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা পটিয়ার নোমান, সাতকানিয়ার বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান ও মো. ইদ্রিসের অডিও রের্কড ফাঁস হয়ে যায়। উভয়ের কথোপকথনের এ অডিও বার্তাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরসহ কয়েকজন নেতাকে টাকা দেয়ার বিষয়সহ নানাবিধ কথা এসব কথোপকথনে উঠে আছে। এসব নিয়ে জেলার নেতাদের কৌশলী ভূমিকার পাশাপাশি উপজেলার নেতারা অস্বীকারও করছেন। এ বিষয়ে জানতে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি বৈঠকে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ ইদ্রিসকে ফোন করা হলে তিনি প্রথমে বৈঠকে আছেন বললেও সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেন। একইভাবে জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ও পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা নোমানকে একাধিকবার ফোন করেও রিসিভ করেননি।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, মান্নান সদ্য বিলুপ্ত সাতকানিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি। পৌরসভা ও কলেজ কমিটি গঠনের সময় সে-ই টাকা পয়সা লেনদেন করেছে জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আবু তাহেরের পক্ষে। যা জেলার নেতা-নোমান ও ইদ্রিসের অডিও ভয়েসে রয়েছে। তবে নোমানই সভাপতি বোরহান ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের পক্ষে যাবতীয় অর্থ লেনদেন করেছে। এসব বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা