চট্টগ্রামে এক কিশোরী পোশাককর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার বিকালে চট্টগ্রামের পটিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোরীকে গত রবিবার সন্ধ্যায় কিশোরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা যায়। তবে ঘটনার পর দুই দিন পার হলেও সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বরং দুই থানার মধ্যে চলছে রশি টানাটানি।
জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। পটিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় সে চাকরি করে। কিশোরীর স্বজনরা বলছেন, তার অবস্থা গতকালের তুলনায় এখন ভাল।
পটিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘ওরা দু’ইজনের বাড়ি পটিয়া থানায় হলেও ঘটনা ঘটছে কর্ণফুলী থানা এলাকায়। তাই মামলা হবে কর্ণফুলী থানায়।’ কিন্তু কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ বলছেন, ‘এটি কর্ণফুলী থানার ঘটনা নয়।’
কিশোরীর স্বজনদের বরাত দিয়ে চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির হোসেন বলেন, ‘কারখানার গাড়িচালক রিপনের সঙ্গে কিশোরীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পহেলা বৈশাখে কারখানা ছুটি থাকায় দুজন বেড়াতে বের হন। রিপন মেয়েটিকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। হোটেলের নাম-ঠিকানা কিছুই মেয়েটি জানাতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, পটিয়া শহরের আশেপাশের কোনো হোটেল হতে পারে। সেখানে কিশোরীকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে।’
তিনি বলেন, ‘একজন অটোরিকশা চালক মেয়েটিকে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেয়েটি অজ্ঞান অবস্থায় ছিল।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার