খুনের পর লাশ পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করতে গিয়েও পার পেলো না দিলীপ হত্যার দুই মূল হোতা। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার দুইজন হলো- জীবন (১৬) ও দুর্জয় (১৬)।
দিলীপের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে। এরা তিনজনই জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার শ্রমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদের মধ্যে জীবন তাদের বন্ধু দিলীপকে হত্যার দায় স্বীকার করে শুক্রবার বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান জানান, হালিশহর এলাকা থেকে উদ্ধার করা পোড়া মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। দিলীপ নামে ওই কিশোর কুমিরা এলাকায় অবস্থিত জিপিএইচ ইস্পাত কারাখানার শ্রমিক। তাকে খুনের কারণে যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারাও ওই কারখানার শ্রমিক। তাদের তিনজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। তিনজনই নিয়মিত একসঙ্গে গাঁজা সেবন করতো বলে জানা গেছে।
জীবনের দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান, দিলীপ কিছুদিন আগে জীবন ও দুর্জয়কে কোনো একটি বিষয় নিয়ে গালিগালাজ করে। পরে এর রেশ ধরে তাদেরকে মারধরও করে। মারধরের প্রতিশোধ নিতেই দিলীপকে পরিকল্পনা করে হত্যা করে তারা দুইজন। ওইদিন সন্ধ্যায় দিলীপকে নাথপাড়ার রেললাইনের কাছে ঝোঁপের মধ্যে বসে গাঁজা সেবনের আমন্ত্রণ জানায় জীবন ও দুর্জয়।
প্রসঙ্গত, ১৮ এপ্রিল দিলীপকে হালিশহর নাথপাড়া এলাকায় কৌশলে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বন্ধু জীবন ও দুর্জয়। পরে ফইল্যাতলী খালপাড় এলাকার পরিত্যক্ত ওই বাড়িতে অটোরিক্সা করে মরদেহটি নিয়ে যায়। সেখানে মরেদহটি রাতে পুড়িয়ে ফেলে। মরদেহ পোড়ানোর জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী হালিশহর বড়পোল এলাকা থেকে কেরোসিন কেনে জীবন ও দুর্জয়।
এদিকে ১৮ এপ্রিল দিলীপকে হত্যা করা হলেও পুলিশ ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফইল্যাতলী বাজারের খালপাড় এলাকার একটি ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে পোড়া ও গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন