শিরোনাম
১৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:৫৯

গভীর সাগরে ইলিশের ঝাঁক, উপকূলবর্তী জেলেদের জাল ফাঁকা

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম:

গভীর সাগরে ইলিশের ঝাঁক, উপকূলবর্তী জেলেদের জাল ফাঁকা

গভীর সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। কোরবানির ঈদের পরেরদিন থেকে পূর্ণিমার তিথি গণনার দিন থেকে শনিবার পর্যন্ত ইলিশ ধরা পড়ছে উল্লেখ করার মতো। নগরীর ফিশারীঘাট, কাট্টলীঘাট, ফৌজদারহাট, পতেঙ্গা, ১৫ নং ঘাটসহ সবখানেই ইলিশের সমাগম ঘটেছে। গভীর সাগরে জেলেরা জাল ফেলতেই এবার ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তবে সে তুলনায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার জেলেদের জালে চলতি পূর্ণিমায় ইলিশ কম ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে। তাই গভীর সাগরে যারা ট্রলারে করে ভাসমান জাল দিয়ে রূপালী ইলিশ শিকার করে তাদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিলেও উপকূলবর্তী জেলেদের মুখে সেই হাসি নেই। তবে চন্দ্রমাসের শেষের ৪-৫ দিন উপকূলীয় এলাকার জেলেদের গাঁড়াজালেও (স্থায়ী) ধ্বস নামানো দাম পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়তে পারে বলে আশাবাদ জানালেন তারা।

নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার ও কর্ণফুলীর তীরবর্তী ফিশারিঘাটে এখন ইলিশের মহোৎসব চলছে। ট্রলারের মালিক থেকে মাঝি-মাল্লা এবং আড়ৎদার থেকে তাদের সহকারী কারোরই এখন দম ফেলবার মতো ফুরসৎ নেই। ছোট-বড় সব আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ঘাটে। সাগরের গভীর থেকে বিপুল পরিমাণ ইলিশ আহরিত হলেও বাজারে সে তুলনায় দাম কমছে না। তাই জেলেদের এবং গদিওয়ালাদের এখন ফুরফুরে আমেজ। কিন্তু সাধারণ ক্রেতা যারা একটু দাম পড়লে নিজেদের জন্য এবং আত্মীয়-স্বজনের জন্য ইলিশ কিনে থাকেন, তারা এখনও সন্তোষমনে নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়। আবার কেজির নিচের সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮শ’ টাকায় এবং আধাকেজি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫শ’ টাকা করে। আবার মানভেদে কিছু ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশ থেকে ছয়শ টাকা পর্যন্ত। সামনে ইলিশের দাম আরো কমবে বলে মনে করছেন আড়ৎদাররা।

ফিশারিঘাটের আড়ৎদার আবদুল খালেক জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। তবে বড় ইলিশের যে পরিমাণ দাম কমার কথা এবার সে পরিমাণ দাম কমেনি। সামনে কিছুটা কমতে পারে। ফিশারি ঘাট থেকে এখন প্রতিদিন কয়েক হাজার টন ইলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে আনোয়ারা উপকূল গহিরার জেলে মোহাম্মদ জফুর জানান, গতমাসের পূর্ণিমার জো’তে উপকূলবর্তী জেলেদের জালে বেশ ভালো মাছ ধরা পড়েছিলো। প্রতিবছর কোরবানির এই পূর্ণিমার জো’তে ধারণার বাইরে ইলিশ ধরা পড়লেও এবার কিনারে (উপকূলবর্তী) তার উল্টোটাই ঘটেছে। বেশি মাছ ধরা পড়ছে বাইরো (গভীরে)। আশা রাখি সামনের জো’তে কিনারে ভাল মাছ পড়বে।  

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর