চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির প্রতিপালনে কোনো কার্পণ্য করা যাবে না। তাই পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর বিনির্মাণে চসিক স্বল্প, মধ্যমমেয়াদী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বুধবার দুপুরে চসিকের ৫৬তম সাধারণ সভায় তিনি এ আহবান জানান।
চসিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেমসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ। সভা সঞ্চালনা করেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী।
সিটি মেয়র বলেন ‘দেশব্যাপী শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু জম্মশত বর্ষ। আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে বছরব্যাপী। ২০২১ সালের ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ শেষ হবে। এই বর্ষকে উপলক্ষ্য করে চসিক বণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চসিকের সকল স্থাপনাসহ নগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সড়ক দ্বীপে, মোড় ও পার্কে আলোকসজ্জা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত বেলবোর্ড স্থাপন করছে। এছাড়া নগরীর প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সকল ভবণের মালিকদেরকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভবনে আলোকসজ্জা করার অনুরোধ করছি।’
তিনি বলেন ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির প্রতিপালনে কার্পণ্য করা যাবে না। তাই পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর বিনির্মাণে চসিক স্বল্প, মধ্যমমেয়াদী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ১০টি সেলের মাধ্যমে ১৭ মার্চ রাত ৮টায় আতশ বাতি জ্বালানো, একই সময়ে ১৫টি স্থান থেকে ফানুস উড়ানো হবে। ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২০ উদযাপনের নিমিত্তে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০১০ জন মুজিব কোর্ট পরিহিত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ মধ্যদিয়ে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হবে।’
সিটি মেয়র বলেন, ‘আচরণবিধি মেনে চললে শুধু নির্বাচনী পরিবেশের জন্য নয়, প্রাথীদের জন্যও হবে ভালো। আচরণবিধির সুষ্ঠু প্রতিপালন নির্বাচন পরিবেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, তার জন্য প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা বাঞ্চনীয়। এমনকি তাদের প্রচার-প্রচারণায় এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। এগুলো যথাযথভাবে অনুশীলন করা না হলে নির্বাচনের ফলাফলে অনভিপ্রেত প্রভাব পড়ে। নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা শুধু ভোট গ্রহণ বা ভোটকেন্দ্রকে নিয়েই নয়, ভোটের আগে থেকে পরে সব ক্ষেত্রই এর আওতাভুক্ত। তাই সুষ্ঠু ভোটের জন্য আবশ্যিক নির্বাচন বিধিমালা সকলকে মেনে চলা উচিত।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল