রাজনীতি ও সংস্কৃতি হাতে হাত ধরে না হাঁটলে কোনোটিরই সুরক্ষা হয় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিককর্মীরা ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে সবগুলো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একই প্লাটফরমে কাজ করেছেন। ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে বঙ্গবন্ধু যখন ৬ দফা ঘোষণা দেন তখন একদিকে দেশের সাধারণ মানুষ টগবগ করছিলেন। একই সময়ে এদেশের শিল্পী, সাহিত্যিকদের গণসঙ্গীত ও ক্ষুরধার লেখনী বাঙালির শোণিতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। তাই নির্বাচনে জয়লাভ করলে চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য উপযুক্ত মঞ্চ ও পরিবেশ সুনিশ্চিত করব।
তিনি শনিবার তার নির্বাচনী কার্যক্রম ও গণসংযোগের অংশ হিসাবে বেলা ১টার দিকে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটেও সংগীত, আবৃত্তি ও নাট্যশিল্পীরা দেশের জন্য, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য যে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন, তা অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের চেয়েও অনেক বেশি কার্যকর।
তিনি নগরীর সংস্কৃতিকর্মীদের প্রাণকেন্দ্র ডিসি হিলকে পুনরায় উন্মুক্ত করে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
মতবিনিময়কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, সহসভাপতি ফারুক তাহের, মিলি চৌধুরী, চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, খেলাঘর আন্দোলনের নেতা ডা. এ কিউএম সিরাজুল ইসলাম, সাংস্কৃতিককর্মী দেওয়ান মাকসুদ, আব্দৃল হারিম দোভাষ প্রমুখ।
এদিকে বেলা ৩টায় মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী নগরী মহিলা আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সেখান থেকে গণসংযোগের ট্রাকে উঠে চলে যান নগরীর হালিশহ ৩৭ নং মুনীর নগর ও ৩৬ নং গোষাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে। ওয়ার্ড দুটিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত রেজাউল করমি চৌধুরী আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি নিজেই এলাকার ভোটারদের হাতে হাতে হ্যান্ডবিল তুলে দেন এবং ভোট প্রার্থনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন