চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকায় আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন। তবে চসিক নির্বাচনের দিন ২৯ মার্চ এ ক্যাম্পেইন স্থগিত থাকবে। তাই চসিক এলাকায় ১১ এপ্রিলের পরিবর্তে ১২ এপ্রিল টিকাদান ক্যাম্পেইন শেষ হবে। ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী ৭ লাখ ৫২ হাজার শিশুকে এক ডোজ হাম-রুবেলা (এমআর) টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৮-২৪ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং দ্বিতীয় ধাপে ২৮ মার্চ-১২ এপ্রিল সব নিয়মিত স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হবে। নগরের ৪১ ওয়ার্ডের ১ হাজার ১৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও স্থায়ী/অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে চসিক জেনারেল হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সুশান্ত বড়–য়া প্রমুখ।
ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, ‘আগে হাম বা এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও কিংবা হাম-রুবেলা হলেও নির্দিষ্ট বয়সের সব শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে। হাম-রুবেলা একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। হাম রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যেকোনো বয়সে হাম হতে পারে। অন্যদিকে রুবেলা রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের সাহায্যে শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে এবং রুবেলা রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।’ তিনি বলেন, ‘গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের ৩ মাসের সময় রুবেলা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে মা থেকে গর্ভের শিশু আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে গর্ভপাত এমনকি গর্ভের শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। শিশু জন্মগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে যা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম (সিআরএস) নামে পরিচিত। এ রোগ এবং জটিলতা থেকে বাঁচার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে সঠিক সময়ে শিশুকে রুবেলার টিকা দিয়ে সুরক্ষিত রাখা।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/ রেজা মুজাম্মেল