চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ছাড়াও আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ আসছে নির্বাচন কমিশন বরাবরে। এখানে বেশীরভাগই রয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তবে ইসির বরাবরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমসহ ১৫ জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পড়েছে। সর্বশেষ সোমবার পর্যন্ত ৩২টি অভিযোগ জমা পড়েছে ইসি বরাবরে। তবে চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে দায়সারা গোচর উত্তর দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীলরা।
চট্টগ্রামের নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়া নাগরিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক নছরুল কদির বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে চসিকের নির্বাচনী সভা দলীয় সভা করেছেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীসহ তার দলের মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা। একই সাথে চসিকের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটিও গঠন বিষয়ে সভা হয়েছে সার্কিট হাউজে। এতে দলের মন্ত্রীসহ এমপিরা উপিস্থত ছিলেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী নিয়মবহির্ভুত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগে সরকারি সুবিধাভোগীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত থাকা এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিদাভোগীদের বিষয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগের সমাধানও হয়েছে। এটি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আইনশৃংখলা বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পোস্টার ছেড়া, প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থীদের উপর হামলা, অস্ত্রসহ মহড়াসহ নানাবিধ অভিযোগ এসেছে। এসব বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বশীল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট ওসিদের বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বরাবরে পক্ষে-বিপক্ষে অভিযোগ কারীদের মধ্যে রয়েছে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রধান নিবার্চনী এজেন্ট আবদুল্লাহ আল নোমান, নাগরিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক নছরুল কদির, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ২৫ নং রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ ও অন্য আরেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরীর। তাছাড়া সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী জেসমিন পারভিন জেসি, তছলিমা বেগম নুর জাহান, নীলু নাগ, পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থী কপিল উদ্দিন খান, মোরশেদ আলম, আবুল হাসনাত বেলাল, শৈবাল দাশ সুমন, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, আবদুস সবুর লিটনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দলীয় পরিচয়ে প্রচারণার অভিযোগে উঠেছে। এখানে নির্বাচনী আইনে প্রার্থীর প্রতীক, নাম ও ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন