করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গণসংযোগ সীমিত করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
শুক্রবার সকালে তিনি নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করলেও বিকেলে আর বাসা থেকে বের হননি। সকালে সীমিত পরিসরে গণসংযোগকালে তিনি ভোটারদের মধ্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন।
মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গণসংযোগ সীমিত করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী। শুক্রবার সকালে শুধু মাত্র একটি ওয়ার্ডে তিনি গণসংযোগ করেন। এসময় সাধারণ লোকজনের মধ্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। বিকেলে তিনি বাস ভবনে অবস্থা করে নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
ডা. শাহাদাত হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারি মো. মারুফ বলেন, ‘নির্বাচনী গণসংযোগ বাতিলের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। দলীয় হাইকমাণ্ডের সাথে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
নির্বাচন বন্ধের দাবি বিএনপি’র :
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী’র বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের এ রকম একটা সংকটে নির্বাচনের নামে জাতিকে এভাবে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়া একটা গর্হিত সিদ্ধান্ত। দেশের ১৭ কোটি মানুষ বাস করে। একটা যদি দুর্যোগ হয় তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নিবে? তাই এই মুহুর্তে নির্বাচন বন্ধ করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে বাঁচার জন্য মানুষকে এখন একজনের সাথে একজনের চার ফুট দুরত্বে থাকতে বলা হচ্ছে। লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। সরকার সারাদেশে সভা-সমাবেশ, বিয়ে, সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষ এখন বের হচ্ছে না আর সেখানে বাংলাদেশে এখন নির্বাচন হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের কাছে মানুষের জীবনটাই মূখ্য। জনগণকে বাদ দিয়ে আমরা রাজনীতি করতে পারবো না। সেজন্য জনগণের নিরাপত্তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সিভিল সার্জন ইতিমধ্যে বলেছে, দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর হচ্ছে চট্টগ্রাম। এ অবস্থায় আমরা মনে করি, ইসি মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করছে। মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে যদি নির্বাচন থেকে সরে যেতে হয় তাহলেও আমি রাজি আছি।
এসময় এসময় উপস্থিত ছিলেনবিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সহ দপ্তর-সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন