চট্টগ্রাম নগরের ফিশারিঘাটের মমিন সওদাগরের মাছের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষিত প্রায় ২০০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়। এ সময় নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি ও সংরক্ষণের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমনা করা হয়।
শনিবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেয়ে ট্রাকভর্তি প্রায় এক মেট্রিক টন নিষিদ্ধ পিরানহা মাছসহ ট্রাক ফেলে মালিকসহ ড্রাইভার পালিয়ে যায়। মাছগুলো জব্দ করে তা জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, ‘মমিন সওদাগরের মাছের আড়তের বিক্রয় রেজিস্ট্রার খাতা যাচাই করে দেখা যায় তিনি পিরানহা মাছ না লিখে চাঁন্দা মাছের নাম লিখছেন। জিজ্ঞাসাবাদে বিক্রয়কর্মী বলেন, ফিশারিঘাটে পিরানহা মাছকে চাঁন্দা বা চাঁদা মাছ বলে।
দেখতে রূপচাঁদা মাছের মতো হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা অনায়াসে মানুষকে ঠকাচ্ছে। মমিন সওদাগরের আড়তে বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষিত প্রায় ২০০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মুচলেকা নেওয়া হয় যে, সে ভবিষ্যতে আর নিষিদ্ধ পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুর মাছ ক্রয়, সংরক্ষণ ও বিক্রয় করবে না।’
জানা যায়, পিরানহা মাছটি রাক্ষুসে স্বভাবের। এদের ছোট চোয়াল হলেও ত্রিভুজাকৃতির ক্ষুরের মতো ধারালো দুইপাটি দাঁত আছে। অন্য প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণীদের খেয়ে ফেলে খুব সহজে। দেশীয় প্রজাতির মাছ তথা জীববৈচিত্রের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ এই পিরানহা মাছ। পিরানহা মাছ ও আফ্রিকান মাগুর মাছগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা যেমন সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর, এমনকি ভারত থেকে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটের আড়তে আসে।
দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও মৎস্য জীববৈচিত্রের জন্য ভয়ানক হুমকি স্বরূপ এ পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা উৎপাদন, চাষ, বাজারজাতকরণ, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন