এক কারখানাতেই তৈরি করা হচ্ছিল ৩০ ব্র্যান্ডের মাছের খাবার। ‘সিএফসি ফিশ ফুড’ কারখানায় ভেজাল ও নিম্নমানের এসব মাছের খাবার উৎপাদন ও বিপণন করা হতো চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে করে নগরীর বাকলিয়া থানার চাক্তাইয়ে অভিযান চালিয়ে এই ভেজাল পণ্যের কারখানা আবিষ্কার করেছে জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কারখানাটি সিলগালা করে এর মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টার অভিযান চালানো হয়। সিএফসি ফিশ ফুড নামের ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ব্লক করা কয়েক হাজার নকল ব্যাগ জব্দ করা হয়। কারখানার মালিক মো রেহান উদ্দিন ভাই ভাই এগ্রো ট্রেডিং নামের চালান কপিতে মালামাল সরবরাহ করতেন বলে জানা গেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সিএফসি ফুড মৎস্য খাদ্য উৎপাদন করতে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নেয়নি এবং মৎস্য খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে লাইসেন্স নিতে হয়। অনুমোদন ছাড়া বিক্রি, লেভেলিং এবং মজুদ নিষিদ্ধ। সিএফসি ফিশ ফুড হলেও কারখানার মালিক ভেজাল মৎস্য খাদ্য উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠিত কিছু কোম্পানির নামে বাজারজাত করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন নামি-বেনামি কোম্পানির নাম প্যাকেটে ব্যবহার করে নিজস্ব কারখানার মৎস্য খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রতারণার শামিল। মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০ ও বিধিমালা ২০১১ অনুযায়ী ফিশ ফিড উৎপাদন, অনুমোদন ছাড়া বিক্রি, লেভেলিং এবং মজুত নিষিদ্ধ। তাই কারখানাটি সিলগালা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার