আর মাত্র কয়েকদিন পরেই হবে কোরবানি। তবুও চট্টগ্রামের পশুর বাজারগুলোতে এখনও তেমন দেখা নেই ক্রেতাদের। নেই ছোট-বড় এবং বয়োবৃদ্ধদের সেই চিরচেনা আনাগোনাও। দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণে কোরবানির গরুর বাজারও করা হয়েছে সীমিত আকারে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এসব গরুর বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচলের নির্দেশনাও রয়েছে সরকারের। তবে চট্টগ্রামের বিবিরহাট, সাগরিকাসহ বিভিন্ন গরুর বাজারে ক্রেতা সংকট থাকলেও এখনও আসছে গরু আসছে বিভিন্ন স্থান থেকেই।
চট্টগ্রামে বিবিরহাট গরুর বাজারে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, বিবিরহাট গরুর বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি তেমন দেখা না গেলেও রয়েছে গরুর বেপারীদের আনাগোনা এবং প্রতিদিনই বাজারে ঢুকছে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু। এখনও তেমন বেচাকেনা শুরু না হলেও লাভের আশায় বেপারিরা আগে ভাগেই হাটে নিয়ে এসে গরু-মহিষের পরিচর্যা করছেন। কেউ খাওয়াচ্ছেন খড়, রং লাগাচ্ছেন শিংয়ে আর কেউবা পানিতে ধুয়ে দিচ্ছেন পশুর শরীর।
নগরীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট সাগরিকা ও বিবিরহাটে ট্রাকে আসছে পশু। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে আসা হচ্ছে। এবারের ঈদুল আযহায় চট্টগ্রামে ৭ লাখ ৩১ হাজার পশু কোরবানি হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের দেশীয় গরু দিয়েই কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, এই বছর কোরবানিতে গরু-ছাগলসহ পশুর চাহিদা রয়েছে ৭ লাখ ৩১ হাজার। চট্টগ্রামের গরু-ছাগলসহ কোরবানির পশু উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২২টি। গরু-ছাগলসহ কোরবানি পশুর উৎপাদন বেশি হওয়ায় চাহিদা এবং উৎপাদন প্রায় কাছাকাছি। তবে কোরবানির পশুর কোনও সংকট হবে না বলেও জানান তিনি।
বেপারিরা বলছেন, বন্যায় পশুর খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় আগে ভাগে গরু হাটে নিয়ে এসেছি। করোনার কারণে এবার মনে হচ্ছে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। কোরবানিতে সাগরিকা ও বিবিরহাটে প্রতি বছর হাজার হাজার গরু-মহিষ ও ছাগল কেনাবেচা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো চট্টগ্রামে খামারি ও পারিবারিকভাবে গরু উৎপাদন বেড়েছে। নগর ছাড়াও জেলার পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, মীরসরাই, সীতাকুন্ড, স্বদ্বীপ, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালীতে খামারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে পশু পালন বেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত