চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘নগরের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। একজন রোগীর অসহায় মুহুর্তে একজন চিকিৎসকই পারেন তার মুখে হাসি ফুটাতে। একজন রোগীকে নিরাময় করে পরিবার পরিজনকে স্বস্তি দেয়ার চেয়ে মহৎ কাজ আর কিছুই হতে পারে না। এটা অনেক বড় মানবিক কাজ।’
বুধবার বিকালে চসিকের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রসাশকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, মেমন হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. নাসিম ভুঁইয়া, ডা. আশিষ মুখার্জি, ডা. ইশরাত জাহান, ডা. তৌহিদুল আনোয়ার খান, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘আমাদের উন্নত চট্টগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নগরীতে শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে ভতুর্কি দিয়ে চসিকের আওতায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করেছিলেন। এতে মানুষ আশা জাগানিয়া সুফল ভোগ করেছে। কিন্তু কালস্রোতে তা ধ্বংসের দিকে বিবর্তিত হয়েছে। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমার যতটুকু আছে তা উজাড় করে চসিক স্বাস্থ্যসেবার সুনাম ফিরিয়ে আনবো। তাই কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সংশ্লিস্ট সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কাজে গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ চসিক একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। তাই ভর্তুকি দিয়ে হলেও নগরবাসীর সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। আর শুধুমাত্র টাকার জন্য যারা এ চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হবেন আগামীতে তারা অমানুষ বলে গণ্য হবেন।’ তিনি বলেন, ‘বন্ধরটিলা হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রুপান্তর করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার