চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ‘সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে একটি গুণগত মানের উচ্চতায় উন্নীত করেছিলেন। কিন্তু তা আজ অনেকখানি ম্লান। তাই চসিকের শিক্ষার গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখতে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চসিক পুরাতন নগরভবনের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অধ্যক্ষ মনোয়ার জাহান বেগম, শিক্ষকদের পক্ষে আবুল কাশেম। এছাড়া চসিক পরিচালিত স্কুল, কলেজ, কম্পিউটার ইনস্টিডিউট ও থিয়েটার ইনস্টিডিউটের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিটি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বয়স্ক ও নৈশ স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, থিয়েটার ইনস্টিটিউট, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ সবগুলোর ভবন, পাঠদান পদ্ধতি, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের সংখ্যা, ফলাফল, বেতন-ভাতা, ছাত্র/ছাত্রীদের ফি আদায়, আয়-ব্যয় ইত্যাদি বিষয়ের উপর একটি সার্বিক চিত্র ও প্রস্তাবনা প্রশাসক বরাবরে জমা দিতে বলা হয়।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলেই চট্টগ্রাম পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে সারা দেশে প্রশংসাসূচক অভিধায় স্বীকৃতি পায়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এই খাতটি সস্থিদায়ক নয়। আমি তাঁর পথ ধরেই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সেবা খাতগুলোকে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অধিকতর কার্যকর ও গতিশীল করতে সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।’
তিনি বলেন, ‘আরবি বর্ষের আজকের শেষ দিনে মানুষ গড়ার কারিগরদের সঙ্গে সাথে মতবিনিময় করতে পারছি বলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। চসিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাওয়া-পাওয়াসহ ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত অবগত হওয়া মাত্র তা পূরণ ও সমাধানে কোনো কালক্ষেপণ করবো না। কারণ মেয়াদকালীন ১৮০ দিনের প্রতিটি দিন-ঘণ্টা-মুহূর্তকে সচল, সক্রিয় ও কর্মমুখর করে রাখতে চাই।’
বিডি প্রতিদিন/ আবু জাফর