সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পেশাদার পাটনিজীবী (সাম্পান মাঝি) সমিতিকে ঘাট ইজারা না দেওয়ার প্রতিবাদে অনশন করেছেন কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদেও আট সংগঠন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরের সদরঘাটে নিজেদের সাম্পান নিয়ে নদীতে অনশন করেন তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি। ফলে সকাল-সন্ধ্যা সব সাম্পানঘাট বন্ধ ছিল । এতে কর্ণফুলীর দক্ষিণপাড়ের সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এসএম পেয়ার আলী জানান, গত পহেলা বৈশাখ পেশাদার সাম্পান মাঝি থেকে ঘাট কেড়ে নিয়ে নীতিমালা লংঘন করে ব্যবসায়ীদের ইজারা দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম। অনিয়মের বিষয়টি বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। এর ফলে গত ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রশাসন-২ শাখা কর্তৃক পাঠানো চিঠিতে উপসচিব মোহাম্মদ ফজলে আজিম পেশাদার জন্মগত পাটনিজীবী সমিতিকে ঘাট ইজারা দেওয়ার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এদিকে তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ঘাট মাঝিদের ইজারা দেওয়ার পক্ষে থাকলেও চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এই বিষয়ে পুনঃরায় আইনি মতামতের জন্য নির্দেশনাটি চসিক আইন কর্মকর্তার নিকট পাঠান। এতে গত ছয় মাসেও মাঝিদের ঘাট ফিরিয়ে দেয়নি চসিক। করোনার কারণে সাম্পান মাঝিরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত, তার ওপর ঘাট হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানা গেছে।
মাঝিদেও এই আন্দোলনের পক্ষে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান বলেন, যাদেও কাজ তারা করতে না পারলে সমাজের পেশাগত ভারসাম্য বিনষ্ট হয় এবং প্রকৃত পেশাদার লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ক্ষেত্রে তাই হচ্ছে। মাঝিদের কাছ থেকে ঘাট কেড়ে নিয়ে কৃষ্টি সংস্কৃতির পরিপন্থী কাজ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার