২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৮:০১

পিঁয়াজের প্রথম চালান আসল মিয়ানমার থেকে

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম:

পিঁয়াজের প্রথম চালান আসল মিয়ানমার থেকে

ফাইল ছবি

ভারত পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর বিকল্প দেশ থেকে দ্রুত পিঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেন দেশের ব্যবসায়ীরা। ফলে চীন, মিশর, তুরস্ক, মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশকে বেছে নেন তারা। ফলে দেশে পিঁয়াজের সংকট মোকাবেলায় ভারতের বিকল্প দেশ থেকে আমদানি করা পিঁয়াজের প্রথম চালানটি খালাস হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। 

সোমবার ৫৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। পাকিস্তান থেকেও এসেছে ১১৬ টন। পাকিস্তান থেকে আসা এসব পিঁয়াজেরও কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে এক্সামিন সম্পন্ন হয়েছে। পাইপ লাইনে থাকা অন্যান্য আমদানিকারকের পিঁয়াজও দ্রুত দেশে ঢুকবে বলে জানান বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রেও উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৪ টন পিঁয়াজ আমদানির জন্য ৩২২টি অনুমতিপত্র (আইপি) নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চীন, মিশর, তুরস্ক, মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ভারত ও পাকিস্তান- এই দেশগুলো থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি করবেন ব্যবসায়ীরা। ফলে খুব সহসা পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পিঁয়াজের দাম কমে আসবে।  

এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, পিঁয়াজের সংকট মোকাবেলায় এবং বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দামে যেন এর প্রভাব পড়ে, সে জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর দ্রুত খালাসের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কাস্টম হাউসের অভ্যন্তরীণ ‘গ্রুপ-১’ শাখায় পিঁয়াজের চালান খালাসের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এখানে পিঁয়াজের চালান খালাসে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। 

দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, পিঁয়াজের সংকট শুরু হলে ভারতের বিকল্প দেশের মধ্যে আমাদেও পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের পিঁয়াজের চালানই প্রথম আসল বন্দরে। এই পিঁয়াজগুলো খাতুনগঞ্জের আড়ত গুলোতেই দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের পিঁয়াজের আকার, রং ও স্বাদ আমাদেও দেশি পিঁয়াজের মতোই। এগুলো আড়তে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০ টাকা করে। 

পিঁয়াজের আড়তদার রিতাপ উদ্দিন বাবু জানান, মিয়ানমার, পাকিস্তানের পিঁয়াজ যেহেতু বন্দরে পৌঁছেছে, অন্যান্য দেশের পিঁয়াজও শিগগির চলে আসবে। ফলে বর্তমান সংকট ও বাজার দও দুটোই দ্রুত নেমে আসবে বলে আশা করছি।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৪০ ফুট দীর্ঘ ৯ কনটেইনার পিঁয়াজ এসছে। এর মধ্যে ‘কোটা এনগেরিক’ জাহাজে আসা ২ কনটেইনারে কায়েল স্টোরের ৫৮ টন খালাস হয়েছে বন্দর থেকে। এগুলোর রফতানি কারক সিঙ্গাপুরের ইন্দো সুয়েজ ট্রেডিং লিমিটেড। অন্যদিকে ‘এক্স-প্রেস লোটসি’ জাহাজে এসেছে তিন আমদানিকারকের ৭ কনটেইনার পিঁয়াজ। তম্মধ্যে চট্টগ্রামের গ্রিন ট্রেডের নামে পাকিস্তান থেকে এসেছে ৪ কনটেইনারে ১১৬ টন এবং ঢাকার সজীব এন্টারপ্রাইজের নামে এসেছে ২ কনটেইনারে ৫৯ টন। সজীবের নামে ইউএই থেকে এসেছে ১ কনটেইনারে ২৯ টন।  

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর