কাগজের ভেতর লুকিয়ে বিদেশি সিগারেট আমদানির ঘটনায় একটি বড় ধরনের চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। চালানটাতে ২৩ হাজার কার্টনে ৪৬ লাখ শলাকা ইজি এবং মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া গেছে। সঙ্গে ১৪ টন কাগজও জব্দ করা হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে। এতে শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য পণ্য সিগারেট এনে অন্তত ১১ কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এফোর সাইজের কাগজ ঘোষণা দিয়ে এক কনটেইনার পণ্য আমদানি করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান করিম ট্রেডিং। নগরের রিয়াজুদ্দিন বাজারের এই প্রতিষ্ঠান চালান খালাসের লক্ষ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুরমা এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি (নম্বর সি-২২১১৮৬) দাখিল করে। কাস্টমসের এআইআর শাখা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রফতানিকারক, তৈরি দেশ প্রভৃতি এনালাইসিস করে এনবিআরের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রিটি লক করে রাখে। এরপর রবিবার পরীক্ষা শুরু হলে কনটেইনারের সামনের দিকে রাখা কাগজ দেখিয়ে কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি এ সময় কনটেইনারটির কায়িক পরীক্ষা স্থগিত করার অনুরোধ করলেও রবিবার রাতেই পণ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয় এআইআর শাখা।
কনটেইনার থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৩৬টি কার্টনের উপরে এক রিম এফোর সাইজের কাগজ ছাড়া বাকি সবগুলোতে পাওয়া যায় সিগারেট।
কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় কাস্টমস আইনে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার