১৬ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৪৩

চট্টগ্রামের ইফতারির জৌলুসেও করোনার হানা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের ইফতারির জৌলুসেও করোনার হানা

করোনা প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের ইফতারির রকমারি আয়োজনেও। হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে নেই ইফতারি তৈরির জৌলুস। নেই নিত্য নতুন আইটেম তৈরির প্রতিযোগিতা। অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্ট থেকে ফুটপাত সবখানেই অভিন্ন চিত্র।

অভিজাত রেস্টুরেন্ট বনজৌর রেস্টুরেন্টের পরিচালক (অপারেশন) আক্কাস উদ্দিন  জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অন্যান্য বারের মত বর্ণিল ইফতারির আয়োজন নেই। টেকওয়ে এবং হোম ডেলিভারির মধ্যে ইফতারির আয়োজন সীমাবদ্ধ থাকছে। ইফতার সামগ্রী তৈরি থেকে ক্রেতার হাতে তুলে দেয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়গুলো। নিশ্চিত করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। সরকারি নির্দেশনা মেনে রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার বা ইফতার পার্টি আয়োজনের কোনো সুযোগ থাকছে না।

জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই চট্টগ্রামের হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতারির আয়োজন করা হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে বসে ইফতার করার ব্যবস্থা না থাকলেও রয়েছে হোম ডেলিভারি ও টেকওয়ের ব্যবস্থা। 

খাবার তৈরি থেকে প্রদর্শন, ক্রেতাদের প্রবেশ এবং তাদের হাতে পণ্য তুলে দেয়া পর্যন্ত  প্রতিটি ধাপে নিশ্চিত করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। জীবাণুর সংক্রমণ রোধে নেয়া হয়েছে অন্যান্য সব স্বাস্থ্য সুরক্ষামুলক ব্যবস্থা। অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোতে দেশীয় ইফতারি ম্যানুর পাশপাশি অ্যারাবিয়ান, ইন্ডিয়ান, চাইনিজ খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রায় অভিজাত রেস্টুরেন্টের ইফতারির ম্যানুতে নতুন কোন সংযোজন না থাকলেও বিগত সময়ের স্পেশাল মাটন হালিম, চিকেন হালিম, মেজবানি বিফ, মাটন তেহেরী, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি, পরোটা, বাটোরা, চিকেন সাসলিক, ফিস কোফতা, তান্দুরী চিকেন, চিকেন ইরানী কাবাব, চিকেন টাংগরি কাবাব, নার্গিস কোফতা, স্পাইসি বিফ চপ, ফ্রাইড চিকেন, প্রণ কাটলেট, চিকেন ললিপপ, গ্রীল চিকেন, চিকেন কাটলেট, বিফ জালি কাবাব, এগ ভেজিটেবল রোল, জাফরন জিলাপি, শাহী জিলাপি, মিস্টি দই, ফিরনি, পাটি সাপটা পিঠাতে সীমাবদ্ধ থাকছে আয়োজন। 

অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোর পাশাপাশি ফুটপাত এবং মাঝামাঝারি মানের রেস্টুরেন্টুগুলোতেও ছোলা, বেগুন, পেয়াজু, চপ, হালিম, জিলাপীসহ পুরনো ইফতারি আইটেমের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে আয়োজন।

চট্টগ্রাম বারের আইনজীবি রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ইফতারের বর্ণিল আয়োজন থাকে হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে। করোনার কারণে এবার তা নেই। হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো পুরনো ম্যানুতে সীমাবদ্ধ থাকছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর