একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও করোনাকালে অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। আজ শুক্রবার কেলিশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিক আহম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অবিভক্ত বৃহত্তর পটিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম।
মুহাম্মদ বদিউল আলম একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ‘ইতিহাসের বর্বর সরকার ব্যবস্থা ছিল খালেদা-নিজামীর বিএনপি জামায়াত জোট সরকার। তারা বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলতে অনেক ষড়যন্ত্র করেছিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল।’
‘সেদিন মহান আল্লাহর কৃপায় জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও নারীনেত্রী আইভি রহমান, ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মেয়র হানিফসহ অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছিলেন। ঢাকার রাজপথ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রক্তে লাল হয়েছিল। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড খুনি তারেক জিয়া। পলাতক এ কুলাঙ্গারকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানাই।’
পটিয়ায় হুইপ সামশুল হকের অপরাজনীতির বিষয় উল্লেখ করে বদিউল আলম বলেন, ‘নেতাকর্মীদের ত্যাগ সংগ্রামের ফসল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। অথচ আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়ে সংসদ সদস্য, হুইপ হয়ে উনি পটিয়াতে আওয়ামী লীগ ধ্বংসের অপরাজনীতি শুরু করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে তিনি সম্মেলনবিহীন পকেট কমিটি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো ধ্বংস করছেন।’
তিনি বলেন, এই হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করে, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে, অনুপ্রবেশকারী মাদক কারবারি সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুদের দিয়ে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের মতো অপরাধপ্রবণতা দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্যের মতো উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। ক্যাসিনো জুয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে। হুইপ সামশুল হকের এই অপকর্ম অপরাজনীতির বিরুদ্ধের আজ পটিয়ার আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগের সুনাম মর্যাদা নষ্ট হতে আর দেব না। যারাই আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করবে তাদের প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমি পটিয়ার আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
আলোচনা সভা শেষে কেলিশহর ইউনিয়নের ৫০০ পরিবারে উপহারসামগ্রী হিসেবে শাড়ি লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুছ মেম্বারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ৭৫ পরবর্তী পটিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির রাশেদ, পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন, সাবেক কমিশনার হাসান মুরাদ, কেলিশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম, সাবেক ছাত্রনেতা ও শিশুসংগঠক মো. সাহাব উদ্দিন, পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ডিএম জমির উদ্দিন, পটিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল ইমরান, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ছৈয়দ।
বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সুজন বড়ুয়া, সাইফুল ইসলাম শাহীন, আজিজুল হক মানিক, তৌহিদুল আলম জুয়েল, সাহাবুদ্দীন সাদি, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, বাদশা মিয়া প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক