চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাট থেকে দক্ষিণ পাড়ের যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিয়েছেন সাম্পান মাঝিরা। আজ রবিবার সকাল থেকে তারা সাম্পান পরিচালনা বন্ধ রেখেছেন। হঠাৎ করে সাম্পান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়া পোশাক শ্রমিক, সবজি চাষি ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই নৌপথে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার যাত্রী পারাপার করে।
মাঝিদের অভিযোগ- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ঘাটটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু লোক দিয়ে জনপ্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। এটি নিয়ে সিটি মেয়রকে ১৫ দিন আগে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তা নিয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয়নি। ফলে সাম্পান মাঝিরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বলে জানা যায়। নিয়ম মতে, চসিক ইজারা না দিলে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে জনপ্রতি ২ টাকা করে টোল আদায় করার। কিন্তু চসিক তা না করে স্থানীয় লোক দিয়ে টোল আদায় করছে।
কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার সাম্পান কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা আলীউর রহমান বলেন, ‘কর্ণফুলীতে যত ঘাট আছে, সবগুলো চসিক ইজারা দেয়, মাঝিরা নেয়। মাঝিরা যাত্রী প্রতি দুই টাকা করে চসিকের জন্য রাখে। আর যে ঘাটে টোল কম সে ঘাটে একটাকা করে চসিককে দেয়।
কিন্তু এই ঘাটটি চসিক ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীকে দিয়ে দিয়েছে। তারা চাঁদা তুলে কিছু চসিককে দেয়। আর কিছু ওরা নেয়। এটি নিয়ে সরাসরি মেয়রকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মেয়র সেটা পাসও করেছেন। এরপরও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ইছানগর বাংলাবাজার ঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সভাপতি মো. লোকমান বলেন, ‘ঘাটটি চসিক ইজারা না দিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এটি বন্ধ করার জন্য চসিককে চিঠি দিয়েছি। তবুও চসিক স্থানীয় লোক দিয়ে যাত্রী প্রতি ৫ টাকা করে আদায় করতেছে। এটি বন্ধ করার জন্য মাঝিরা ধর্মঘট শুরু করে। আমরা মনে করি, ঘাটটি ইজারা না দেওয়ার ক্ষেত্রে চসিকের নিজস্ব লোক জড়িত আছে। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর