একজন সংসদ সদস্যের (এমপি) নাম ভাঙিয়ে কৌশলে রেলওয়েতে নিয়োগ দিতে তদবির করেছে রেলেরই কর্মচারী। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তদবির করা সেই রেলওয়ের কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার বিষয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। অবশেষে রেলওয়েতে ওয়েম্যান পদে কর্মরত সেই প্রতারক সুজন মিয়াকে (৪০) সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার থেকেই রেল অঙ্গসহ সারাদেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে বলে রেল সংশ্লিষ্টরা জানান।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কয়েকটি সূত্র ধরেই রেলের কর্মচারি সুজন মিয়া আমার মুঠোফোনে কল দেন। এসময় সুজন নিজেকে মৌলভীবাজারের একজন এমপির পরিচয় দিয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে দুজন লোককে আমার দপ্তরে নিয়োগ দিতে বলেন। এরপর সুজন মুঠোফোনে দুই চাকরিপ্রার্থীর নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে এসএমএসও পাঠান। বিষয়টি তখন সন্দেহ হলে দুই প্রার্থীর লিখিত আবেদন দিতে বলি। আবেদন পাওয়ার পর সেখানে সাংসদের সুপারিশ না থাকায় সন্দেহ আরো বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, এরপর সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে রেলের কর্মচারী সুজনের প্রতারণার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ধরা পড়ে। তবে সাংসদের পরামর্শে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রেলের সুনাম ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সফলতার বিষয়গুলো নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সেখানে বিএনপি-জামায়াত সর্মথিত এক শ্রেণির রেলের কর্মচারী নানা কৌশলে তদবিরও করছে। যা এটাই প্রমাণ। তবে অপরাধী বা প্রতারক যেই হউক আইনের আওতায় এনে শাস্তি পেতে হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকা থেকে সুজন মিয়া নামের রেলের এক কর্মচারিকে গ্রেফতার করেছে প্রতারণার অভিযোগে। সুজন রেলের ওয়েম্যান পদে কাজ করেন। বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সদরঘর এলাকায়। গ্রেফতারের পর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই চাকরিপ্রার্থীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল