চট্টগ্রাম জামাল খান থেকে কাজীর দেউড়ি মোড় পর্যন্ত হিউম্যান হলারে ভাড়া পাঁচ টাকা। কিন্তু এখন নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা। এ নিয়ে বিকালে এক যাত্রীর সঙ্গে গাড়ির হেলপারের তর্ক-বিতর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। একইভাবে নিউ মার্কেট থেকে কাজীর দেউড়ি মোড় পর্যন্ত মিনি বাসের ভাড়া পাঁচ টাকা। এখন নিচ্ছে ১০ টাকা। এ নিয়ে যাত্রী-হেলপারের সঙ্গে তৈরি হয় বাকযুদ্ধ।
এভাবে তেলের দাম বৃদ্ধি ঘোষণার পর থেকেই সড়কে সড়কে শুরু হয় ভাড়া নৈরাজ্য। গণপরিবহানে ওঠলেই ভাড়া গুণতে হচ্ছে ১০ টাকা। এ নিয়ে প্রতিটি যানবাহনের চালক হেলপারের সঙ্গে যাত্রীর চলছে তর্কবিতর্ক। ঘটছে হাতাহাতির ঘটনা। সড়কে শুরু হয়েছে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি।
যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার প্রতি লিটার জ্বালানি তেলে দাম বৃদ্ধি করেছে ১৫ টাকা। এ হিসাবে একটি যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু এখন গণপরিবহনগুলো ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছে। সড়কে শুরু করেছে চরম নৈরাজ্য। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠেছে। তার ওপর ভাড়ার এমন নৈরাজ্য ‘মড়ার ওপর খড়ার গা’ বলে আমরা মনে করি।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু যানবাহন ভাড়া বেশি নিচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। তবে বর্ধিত দামের সঙ্গে ভাড়া সমন্বয় করার পর এ সুযোগ আর থাকবে না।
জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর তেল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর ৫ নভেম্বর সকাল থেকে পরিবহন মালিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। মূল্য বৃদ্ধিতে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ডাক দেয় ধর্মঘটের। ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে নগরের অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করছে। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীরা অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। এজন্য তাদের দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। একজনের সিটে বসানো হচ্ছে দুইজন। নগর থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ার স্টেশন অলংকার, একে খান মোড়, বহদ্দারহাট নতুন চান্দগাঁও থানা ও নতুন ব্রিজের বাস কাউন্টারগুলো ছিল বন্ধ। কাউন্টারের সামনে ও রাস্তায় ছিল যাত্রীদের ভিড়। মাঝে মাঝে দু-একটি গাড়ি চাড়লেও ভাড়া নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। তাছাড়া নগরে সীমিত সংখ্যক বাস চলাচল শুরু হলেও যাত্রীদের ওঠতে হচ্ছে যুদ্ধ করে।
বিডি প্রতিদিন/এএম