চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয় এমন শ্লোগান নিয়ে ২৮ বছর আগেই প্রতিষ্ঠা হয় নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনটি। কিন্তু আমাদের কিছু চালক ও যাত্রীর অসতর্কতা এবং অসচেতনতার কারণে সড়ক নিরাপদ করা যায়নি। এটি আমাদের জন্য দুঃখের। কারণ নিরাপদ সড়কের জন্য চালক-যাত্রী ও পথচারী- সকলকেই সচেতন হতে হয়। আজ গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমরা মনে করি যারা এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, তারা আশাপাশের চালকদেরও সবগুলো বিষয় নিয়ে অবহিত এবং সচেতন করে তুলবেন। তাহলে পর্যায়ক্রমে চালকদের হাত ধরেই সড়ক নিরাপদ হয়ে ওঠবে।
বুধবার দুপুরে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের কারখানা মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির উদ্যোগে ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গাড়ি চালক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিরাপদ সড়ক চাই মহানগর কমিটির সহসভাপতি লায়ন মোহাম্মদ হাকিম আলীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ এনামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অটোরিক্সা হালকা যান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথি এস এম মেহেদী হাসান বলেন, প্রশিক্ষণ দিয়ে সবকিছু হয় না। প্রশিক্ষণে গাড়ি চালানো এবং পরিচালনার মৌলিক কিছু বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়। কিন্তু নিরাপদ সড়ক নির্মাণে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্থান ও সময়ভেদে নিজের বিবেক বিবেচনা দিয়ে কাজ করতে হয়। এর মাধ্যমেই সড়ক নিরাপদ করা যায়।
তিনি বলেন, গাড়ির চালকের আসনে বসে অসম প্রতিযোগিতা করাটা প্রশিক্ষণের বিষয় নয়। এটা নিজের বিবেক-বিবেচনা এবং নৈতিকতার বিষয়। তাই কখনো অসম প্রতিযোগিতা কিংবা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ওভারটেক করাটা কোনোভাবেই উচিত নয়। বিষয়টি চালকদের সব সময় মনে রাখা জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/এএ