চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে অরবিসের বাস্তবায়নে জন্মগত অন্ধ শিশুদের সফল অস্ত্রোপচারের পর রঙিন পৃথিবীর আলোর মুখ দেখল ১৭ শিশু। চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে দুই দফায় ১৭ জন রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় শিশুর সফল অস্ত্রোপচারের পর বৃহস্পতিবার চোখের বাঁধন খুললে শিশুরা স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। একই সঙ্গে শিশুদের ওষুধসহ যাবতীয় সেবা প্রদান করা হয়।
এর আগে ৮ মার্চ রোহিঙ্গা পুরুষ ৩ জন, মহিলা ৪ জন, কক্সবাজারের স্থানীয় পুরুষ ১ জন, মহিলা ১ জনসহ মোট ৯ জন এবং ২২ মার্চ মঙ্গলবার রোহিঙ্গা পুরুষ ৫ জন, মহিলা ১ জন, স্থানীয় পুরুষ ১ জন, মহিলা ১ জনসহ ৮ জন মিলে দুই দফায় ১৭ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়। ৮ মার্চ ও ২২ মার্চ রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় ১৭ জন শিশু অস্ত্রোপচারের ফলে পৃথিবীর আলো দেখতে পায়।
অস্ত্রোপচার করেন ডা. নাসিমুল গনি চৌধুরী। তত্ত্বাবধানে ছিলেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের ম্যানেজার (প্রোগাম অ্যান্ড অপারেশন) শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, এমআইএস এম এইচ এম অহিদুর রহমান, ফিল্ড ফেসিলিটেটর জামিল উদ্দিন বাপ্পী, অপটোমেট্টি আবদুল আউয়াল শাহ (কাজল)। আই কেয়ার সার্ভিসেস ফর দ্য চিলড্রেন অব উখিয়া অ্যান্ড টেকনাফ ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক, আন্দ্রেরী হেলফীর সহায়তায় অরবিস ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে ক.বা.শ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল।
এর আগে চক্ষু চিকিৎসার জন্য অরবিস পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের এবং নিয়মিত স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় শিশুদের চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদানের জন্য কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালে এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
অস্ত্রোপচারের পর একজন অভিভাবক সাবেকুন নাহার বলেন, এতদিন সন্তানের চোখ নিয়ে যে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম, তা এখন কেটে গেছে। আমরা অরবিসসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের সন্তানদের চোখের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছে। এই চিকিৎসার ফলে আমাদের সন্তানদের সঠিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই