চট্টগ্রামে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে নতুন করে সংক্রমণ হচ্ছে। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে ডেঙ্গু। প্রতিদিন দুটি রোগই নতুন করে শনাক্ত হচ্ছে। বাড়াচ্ছে আতঙ্ক। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পক্ষান্তরে, প্রতিবছর মশক নিয়ে জরিপ করার কথা। কিন্তু ২০২০ সালের পর চট্টগ্রামে আর মশক জরিপ পরিচালিত হয়নি।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দুইজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয় ৫০ জন। আজ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, মহিলা ১০ জন ও শিশু ১৫ জন। অন্যদিকে, গত শনিবার ৩০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। নগরে ৪১ জন ও উপজেলায় ৯ জন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৮ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৯৩ হাজার ৩১০ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭২৮ জন। ইতোমধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৬৬ জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে করোনা বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গু সংক্রমণও দেখা দিয়েছে। করোনা নিয়ে সবাইকে আগের মতই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। তাছাড়া, ডেঙ্গু নিয়েও সরকারি তিনটি হাসপাতালে পৃথক ব্লক প্রস্তুতসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বিআইটিআইডির মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড ও ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। এখন দুটি রোগেরই মৌসুম চলছে। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই কোনো অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
জানা যায়, সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। তাই স্বাস্থ্য বিভাগ এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি) এ আলাদা ব্লক করে শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম