চট্টগ্রাম নগরীর পাচঁলাইশ থানার একটি কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলায় চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুসহ ছয়জনের অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম নগর দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. তসলিম উদ্দীন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন-চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুু, এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, আবু নাছের চৌধুরী আজাদ, একেএম নাজমুল আহসান, মো. ইদ্রিস মিয়া ও মো. ইমরান হোসেন জিয়া।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. তসলিম উদ্দীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পাচঁলাইশ থানার একটি কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলায় নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুসহ ছয়জনের অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। অভিযুক্ত দেবু মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে ছয়জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ ও মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে নগরের পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাছিরাবাদ এলাকায় একটি পুরনো ভবন কেনার পর সেটি ভেঙে নতুন ভবন তৈরির চেষ্টা করছিলেন একই এলাকার বাসিন্দা বন্ধন নাথ। ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে ভবন তৈরির দায়িত্ব দেন তিনি। কিন্তু ৯ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরুর পর দেবাশীষ নাথ দেবুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ভবন তৈরি করতে হলে তাদের ‘এক কোটি’ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেন। এতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বন্ধনকে মারধর করে।
একর্পায়ে পিঠের ডান পাশে গুলি করে গুরুতর জখম করে বলে মামলার আরজিতে দাবি করেন বন্ধন নাথ। তাদের সাথে না পেরে প্রাইম ব্যাংকের পাঁচটি চেকের মাধ্যমে দেবুসহ সন্ত্রাসীদের ৭০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন এই প্রবাসী। এতেও ক্ষান্ত হননি দেবুর নেতৃত্বে আসা সন্ত্রাসীরা। ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভবনের কাজ শুরুর পর আরও ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বন্ধনের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন সন্ত্রাসীরা। তাদের কারণে একপর্যায়ে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হতে হয় বন্ধনকে। আর না পেরে ২৩ ফেব্রুয়ারি বন্ধন নাথ পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ২৪ ফেব্রুয়ারি দেবাশীষ নাথ দেবু ও তার সহযোগী এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম রতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় দেবাশীষ নাথ দেবুকে প্রধান আসামি করে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। গত ২৪ এপ্রিল মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য থাকলে সেইদিন চার্জ গঠন হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই