দোররা মেরে কথিত পীরের হাতে মেয়ে খুনের ঘটনার ১০ বছর পর বিচার কাজ শুরু করেছেন আদালত। সোমবার অতিরিক্ত ২য় মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামের আদালতে বিচার শুরু হয়।
আলোচিত মামলারটি বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে নির্যাতিতদের আইনি সহায়তা দেয়া হয়। হিউম্যান রাইটসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান জানান, ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। কিন্তু ওইদিন আদালতে মামলার প্রধান আসামি কথিত পীর আব্দুল মতিনের পক্ষে উচ্চ আদালতের ফৌজদারি রিভিশন ফাইল করলে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের মামলায় স্থগিতাদেশ দেন। এরপর মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত ছিল। ২০১৯ সালে ১৪ মে উচ্চ আদালতে আসামির ফৌজদারি রিভিশন খারিজ হলে আদালত ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর মামলার বাদি আবু দারদা জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে আজ (সোমবার) অন্যান্য সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দেন।
জানা যায়, ২০০৯ সালে ১৯ আগস্ট পাহাড়তলীর আবাসিক এলাকার পীর মতিনের আস্তানায় নিজের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করতে চাওয়ায় মেয়ে হাফসাকে দোররা মারেন বাবা মতিন। এসময় তার সাথে ছিলেন চাচা আব্দুস সবুর ও বাবার কথিত প্রেমিকা নার্গিস। হাফসার সঙ্গে তার আরও দুই বোনকে একই অভিযোগে মাথা ন্যাড়া করে দোররা মেরে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা নেয়নি থানা। পরবর্তিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় কথিত পীর মতিন ছাড়াও মতিনের ভাই সবুর, স্ত্রী ডা. শাহিদা বেগম, মতিনের প্রণয়সঙ্গী নার্গিস বেগম এবং ছোট বোন বিনু বেগমকে আসামি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম