চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, ১৬-১৮ বছর বয়সে, অপ্রাপ্ত বয়সে কিংবা অকালে বিয়ে হয়ে মা হলে তখন তার পুষ্টির ঘাটতি থাকে। মায়ের পুষ্টির ঘাটতিতে সন্তানেরও পুষ্টির ঘাটতি হয়। কোনো কারণে মেয়েটি স্বামী পরিত্যাক্তা হলে বা স্বামী মারা গেলে সেই মেয়েটির আর ঘুড়ে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। তৈরি হয় বিপর্যস্ত একটি জীবন।
বিকালে স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসার উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ও বিধিমালা ২০১৮ বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা ও শিশু অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, ইপসার পরিচালক (সামাজিক উন্নয়ন) নাসিম বানু, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা ইদ্রিস প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমি যখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলাম (২০১৪-১৭) তখন বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রতি শুক্র ও শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাতাম। এখনো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালান। দেখা যায়, অভিযানকালে মেয়ের বয়স নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়। তারা বলে বিয়ের বয়স হয়েছে। তবে এখন ভালো খবর হচ্ছে জন্মনিবন্ধন অনলাইন হওয়ায় বয়স বাড়ানোর সুুযোগ কমে গেছে। অভিযানের পর গোপনে অন্য জায়গায় নিয়ে বিয়ে দেয়।
মাধবী বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশ সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। বিভিন্নভাবে প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছে। আইনের সংস্কারসহ যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম