৩ জুন, ২০২৩ ২১:৩২

চিরনিদ্রায় শায়িত আফছারুল আমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চিরনিদ্রায় শায়িত আফছারুল আমিন

শনিবার এশার নামাজের পর হালিশহরের পিএইচ আমিন একাডেমিতে শেষ নামাজে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সদ্য প্রয়াত এমপি সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আফছারুল আমিনকে হালিশহরের কাট্টলিতে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। শনিবার এশার নামাজের পর হালিশহরের পিএইচ আমিন একাডেমিতে শেষ নামাজে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়। দাফনের আগে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এর আগে শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছায় তার মরদেহ। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে মরদেহ গ্রহণ করে, কাট্টলীতে ডা. আমিনের বাড়িতে নিয়ে যান। বিকাল ৫টায় চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজার জন্য তার মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়।

জমিয়াতুল ফালাহ প্রাঙ্গণে ডা. আমিনের মরদেহ আনা হলে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী ও অনুসারীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তার নিজ দল ছাড়াও অন্য দলের নেতাকর্মীরাও তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ ছালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, এমপি এম লতিফ, দিদারুল আলম, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নজরুল ইসলাম, নোমাল আল মাহমুদ, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রামের এসপি এস এম শফিউল্লাহ জানাজায় অংশ নেন। 

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জানাজার পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডা. আমিনকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিদায় জানায় আওয়ামী লীগ। গতকাল সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার প্রথম নামাজে জানাজা পড়ানো হয়। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

ডা. আমিনের মরদেহে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সচিবদ্বয় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা জানানো হয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে। শ্রদ্ধা জানান ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ চিফ হুইপ ও হুইপবৃন্দ। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আফছারুল আমিনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় জাতীয় ও দলীয় পতাকা দিয়ে মরহুমের মরদেহ ঢেকে দেন ওবায়দুল কাদের। উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ। শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন।

উল্লেখ্য, ডা. আফছারুল আমিন ২ জুন (শুক্রবার) বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। জানাজা শেষে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আফছারুল আমিনের মৃত্যু দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর