চট্টগ্রামে রাউজান থেকে শিবলী সাদিক হৃদয় (১৯) নামে এক অপহৃত কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা অপহরণ মামলার এক আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
হত্যার শিকার ওই আসামির নাম উমং চিং মারমা (২৬)। নিহত আসামিকে নিয়ে অপহৃত শিবলীর লাশ উদ্ধার শেষে থানায় ফিরছিল পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার কদলপুর-রাঙ্গুনীয়া সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট কদলপুর থেকে অপহরণ করা হয় কলেজছাত্র হৃদয়কে। অপহরণের পর দাবি অনুযায়ী ২ লাখ টাকা মুক্তিপণও দেওয়া হয়। মুক্তিপণ আদায়ের পরও হৃদয়কে হত্যা করে অপহরণকারীরা।
রাউজান থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, কদলপুর-রাঙ্গুনীয়ার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত হৃদয়ের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ অপহরণের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন উমং চিং মারমাকে রবিবার গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুর্গম এলাকা থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামবাসী অবরোধ সৃষ্টি করে অভিযুক্ত উমং চিংকে ছিনিয়ে নেয়। পরে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
হৃদয়ের মা নাহিদা আকতার বলেন, ২৮ আগস্ট এলাকার একটি মুরগি খামার থেকে হৃদয়কে অপহরণ করা হয়। পরে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তাদের বুঝিয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়। মুক্তিপণ দেওয়ার পরও তারা হৃদয়কে হত্যা করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই