চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাত্রিকালীন সময়ে কাজ করা এক হাজার সেবকের মাঝে ‘রেডিয়্যান্টযুক্ত’ শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। সোমবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা নৌবাহিনীর কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিশ্রমের ফলে চট্টগ্রাম এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে পরিচ্ছন্ন। দিনের বেলায় স্কুল ও অফিসগামী নাগরিকদের পরিচ্ছন্ন শহরে দিন শুরু করার সুযোগ করে দিতে এখন রাতেই বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। নাগরিকরা যদি দিনে যত্রতত্র ময়লা না ফেলে রাতে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলে তাহলে দিনে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সবাই চলাচল করতে পারব।তিনি বলেন, ২০২২ সালের কোরবানির ঈদের বর্জ্য সংগ্রহ শেষ করতে আমাদের লেগেছিল ৮ ঘণ্টা। ২০২৩ সালে একই কাজ ৭ ঘণ্টায় শেষ করি। অর্থ্যাৎ দিন-দিন আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। এছাড়া, আমরা নতুন টেন্সিং গ্রাউন্ড ও এসটিএস গড়ে তুলছি। ইউরোপ থেকে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ভূ-গর্ভস্থ বর্জাগার কিনছি। আমার মেয়াদেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে এমনভাবে ঢেলে সাজাবো যাতে বর্জ্য নাগরিকদের চোখে না পড়ে।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা নৌবাহিনীর কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি বলেন, এ বিশেষ পোশাকগুলো অন্ধকারে শ্রমিকদের কাজ করতে সাহায্য করবে। তারা এখন রাতের বেলায় বর্জ্য অপসারণ কাজ করছে। এ পোশাক তাদের সহায়তা করবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম