চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। এ প্রকল্পের অধীন নগরের অধিকাংশ খাল সংস্কার-উন্নয়ন করছে। আমরা কেবল একটি খালের কাজ করছি। এটি আগামী দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে যতদিন পর্যন্ত নগরবাসী সচেতন হবে না, ততদিন পর্যন্ত এ বিপদ থেকে মুক্ত হতে পারব না। ঘরের কাঁথা-বালিশ-কম্বল থেকে শুরু করে ভাঙা চৌকি পর্যন্ত যদি খালে ফেলা হয়, তাহলে পানি চলাচল করবে কেমনে। মানুষ সচেতন না হয়ে শুধু চসিককে দোষারোপ করলে হবে?
বুধবার দুপুরে নগর ভবন কার্যালয়ে চসিক মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে গত তিন বছরের উন্নয়ন কাজের বর্ণনা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
চসিক মেয়র বলেন, গত তিন বছরে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার ঋণ ও বকেয়া বিদুৎ বিল পরিশোধ করেছি। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরের ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বহদ্দার হাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খালটি খনন কাজ চলছে। এটির অবকাঠামোগত কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। এছাড়া নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, নগর পরিকল্পনা, রাজস্ব আদায়, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে তিনি উন্নয়ন কাজ চলছে।
মেয়র হতাশা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, নগরে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কোনো কাজ হচ্ছে না। ফলে চট্টগ্রাম শহরে দুর্দশা বেড়েছে। যেমন- সিডিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (টাইগার পাস এলাকায়) বিষয়ে আমাদের এবং নগর বিশেষজ্ঞদের আপত্তি ছিল। তারপরও সবার মতামতকে উপেক্ষা করে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, কোনো প্রভাব আমাকে দমাতে পারবে না। আমরা চাই ফুটপাতগুলো দখল মুক্ত থাকুক। আমরা কারও ওপরে জুলুম বা নির্যাতন করছি না। আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত অভিযোগ আসছে। ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ হাঁটতে পারছে না। আমি হকারদের জন্য হলি ডে মার্কেট করব বলে ঘোষণা দিয়েছি। তারপরও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলা, চসিকের গাড়ি ভাংচুর করার সাহস ওরা পায় কোথায়। আমরা এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এএম