চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় মো. জালাল (৩৭) নামের এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলর বারখাইন ইউনিয়নের মনু দিঘী এলকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত জালাল একই উপজেলার জুইদন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। পেশা ছিলো মাছ ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় ছৈয়দ আহমেদ (৫৯) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনিও জুইদন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রাম পুলিশ মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে জালালসহ আমি কালা বিবি দীঘির মোড়ে আড়তে মাছ কিনতে যাচ্ছিলাম। মনু মিয়া দীঘি সংলগ্ন সড়কে পৌঁছালে একটি অটোরিকশা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমাদের গাড়িটি গতিরোধ করে। এ সময় জালাল গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে পালানোর সময় তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এরপর মোখতার, নুর হোসেনসহ পাঁচজন লোক জালালকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আমরা চিৎকার করলে জালালকে ফেলে রেখে তারা চলে যায়।’
আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জালালকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা জানান, পেশায় মাছ ব্যবসায়ী হলেও স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারণে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিবেশী কয়েকজনের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে তার বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার হামলা-মামলাও হয়েছে। সেই শত্রুতার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এএম