বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে মো. আলম নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার মামলায় চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এমএ লফিতকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এ সময় তাকে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো হয়। রিমান্ড শেষে পুনরায় তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ডবলমুরিং থানার মো. আলম হত্যা মামলায় সাবেক এমপি এমএ লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডবলমুরিং থানার পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। বিপরীতে কিছু দুস্কৃতিকারী অস্ত্র নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভাংচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ দুস্কৃতিকারীদের ছোড়া গুলি লাগে মো. আলমের মাথায়। পরে মো. আলমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে নগরের ডবলমুরিং থানায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নিহতের ভাই জামাল উদ্দিন।
মামলায় অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এর আগে গত ১৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত ডবলমুরিং থানায় গুলি করে জখম ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এমএ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। গত ১৭ আগস্ট ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী মাজার এলাকা থেকে এমএ লতিফকে গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম
