চট্টগ্রামে হত্যা, চাদাবাজি ও ডাকাতিসহ ১৬টি মামলার আসামি মনছুর ডাকাতকে অস্ত্রসহ বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে তাকে খুলশী থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র। মনসুর নগরের পাহাড়তলীর দুলালাবাদ এলাকার আবদুল মালেক দারোয়ানের বাড়ির মৃত জমির আহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ বরগুনা থেকে সন্ত্রাসী মনসুরকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। মনসুর পাহাড়তলী থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১২টি মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল পাহাড়তলী বাজারে একটি ডিমের আড়ত রানা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানাকে খুনের মামলার আসামি এই মনসুর। টাকা লুট করতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়। এ ঘটনার পর অস্ত্র-গুলিসহ মনসুরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বর্তমানে মাসুদ হত্যা মামলাটি বিচারাধীন। জিজ্ঞাসাবাদে মনসুর জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সে ভাড়ায় নিয়োজিত হয়ে ছাত্র-জনতার ওপরে হামলা করেছিল।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতের পাহাড়তলী বাজারের একটি ডিমের আড়তের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে মনসুরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দৃশ্য ধারণ করা আছে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, ওই ডিমের আড়তে হঠাৎ অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েন মনসুর ও তার তিন সহযোগী সন্ত্রাসী। পরে দোকানের ক্যাশ থেকে তারা ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় ছোড়েন ফাঁকা গুলি, যাতে কেউ এগিয়ে আসতে না পারেন। তার দেয়া তথ্যে খুলশীর রেলওয়ের ক্যান্টিন গেটস্থ কালভার্টের পশ্চিম পাশে নালার মধ্যে মাটির নিচ থেকে কালো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো একটি দেশিয় এলজি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় খুলশী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ