চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের হাজিরা নিচ্ছেন। সোমবার সকালে চসিকের ২১ নম্বর জামাল খান ওয়ার্ডে গিয়ে তাদের হাজিরা নেন। এ সময় একের পর এক নাম ধরে সামনে ডেকে নিয়ে উপস্থিত বাসিন্দাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করেন- তারা আসলেই কাজ করেন কিনা। উপস্থিত বাসিন্দারাও যাদের মাঠে দেখেন না তাদের বিরুদ্ধে জানিয়েছেন মেয়রকে। একই সঙ্গে যারা কাজ করেন তারা পরিশ্রম করে নগরকে পরিস্কার রাখার কথা জানান।
চসিক মেয়র দায়িত্বগ্রহণ করে শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিচ্ছন্নকর্মীদের অনিয়ম-গাফিলতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন- আমি প্রতিটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের হাজিরা নেব। এ নিয়ে তিনি প্রায় ১১টি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন।
চসিক মেয়র বলেন, জামালখান ওয়ার্ডে পরিদর্শনে গিয়ে কিছু কিছু জায়গায় অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন দেখেছি। তাই ওয়ার্ডের সুপারভাইজারকে ওই জায়গা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে দুই দিনের সময় দিলাম। দুই দিনের মধ্যে শেষ করতে না পারলে চাকরি চলে যেতে পারে। আমি স্থায়ী-অস্থায়ী দেখবো না, আমার কাজ দরকার।
মেয়র বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর না থাকায় যেহেতু ওয়ার্ড সেক্রেটারি দায়িত্ব পালন করছে। জনগণ যাবতীয় সনদের ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পরে এবং জনগণ থেকে যাতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা না হয়। সনদের নির্ধারিত ৫০ টাকার অতিরিক্ত কোনো টাকা নিলেও জানানোর অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, কোনো ধরনের ফাঁকিবাজি করার চেষ্টা করবেন না। যে কাজকে আপনারা আপনাদের রুজি-রোজগার হিসেবে নিয়েছেন, সেটাকে আপনারা হক-হালালভাবে করার চেষ্টা করবেন। জনগণের দুর্ভোগ যাতে না হয় জনগণের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবেন। আমরা মনিটরিংয়ের মধ্যে আছি এবং সেটা সবসময় থাকবে। কারণ চট্টগ্রামকে সুন্দরভাবে সাজানোর চেষ্টা করছি। সেজন্য আপনারা আমাকে রাস্তায় রাস্তায় দেখছেন। যারা ছিল তারা হয়তো রাস্তায় রাস্তায় আসতো না। কিন্তু আমি বাধ্য হয়েছি রাস্তায় আসতে। জনগণের খেদমত করতে এখানে এসেছি। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে কোন জনদুর্ভোগ দেখলে; সেটা রাস্তা হোক, ময়লা হোক, ডাস্টবিন হোক, মশা হোক বা অন্য কিছু হোক আপনারা আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল