সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কার্যালয়ের সামনে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বেলুন উড়িয়ে শুমারি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো চট্টগ্রাম জেলার উপ পরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান প্রমুখ। উদ্বোধনের পর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। এবারের স্লোগান ‘অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন।’ শুমারি চলবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, যেকোনো শুমারি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর অর্থনৈতিক শুমারি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই শুমারির ওপর ভিত্তি করে দেশের অর্থনৈতিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। অর্থনৈতিক শুমারির মাধ্যমে সময়ের বিবর্তনে দেশের অর্থনীতিতে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ এবং অকৃষিমূলক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কাঠামো নির্ধারণ করা হবে। তাই সবাই সঠিক তথ্য দিয়ে শুমারিকে সফল করবেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, এবারের শুমারিতে চট্টগ্রাম মহানগর এবং জেলার মোট ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫০টি খানা বা প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৯টি স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭১টি অর্থনৈতিক সম্পন্ন খানার (পরিবার) তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, শুমারির জন্য ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৯৬৩ জন তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা প্রতিটি খানা এলাকায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। তাছাড়া আছেন ১১৯ জন আইটি সুপারভাইজার, ৭৬০ জন সুপারভাইজার, ১১৯ জন জোনাল অফিসার ও ৯ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী।
বিডি প্রতিদিন/এমএস