প্রেমের বিয়ে অতঃপর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে তাসনুবা আকতার চাঁদনীর। কিন্তু বিয়ের মাত্র পাঁচ মাস না যেতেই গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়ী থেকে চাঁদনীর নিথর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ট্রাক চালক স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালাতক রয়েছে।
চাঁদনীর স্বজন শহীদুল ইসলাম জানান, তার বাবার বাড়ি হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়নে হলেও মায়ের মৃত্যুর পর তিনি বড় হয়েছেন ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়নের নানার বাড়িতে।
চাঁদনী স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের সম্পর্ক হয় পার্শ্ববর্তী পাইন্দং ইউনিয়নের বধূ তালুকদার বাড়ির দফাদার শফিউল আলমের ছেলে সাহাব উদ্দিনের সাথে। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।
চাঁদনীর নানা আরিফুর রহমান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে নানা বিষয়ে তার নাতনির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ প্রতিনিয়ত মানসিক নির্যাতন চালাতো তারা। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন ও অত্যাচারে একাধিকবার অসুস্থ পড়েছিলেন চাঁদনী। এ নিয়ে দুই পরিবারে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে বলে জানান তিনি। তার দাবি, চাঁদনীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ