নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি ও নতুন প্রজন্মকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে, একে প্রতিহত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি যাতে জাতিকে চক্রান্ত করে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ মঞ্চের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এ সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সুনিশ্চিত করা, পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী এ দেশের মানুষের প্রতি যে অন্যায় করেছিল তার বিচার করা, যুদ্ধ পূর্ববর্তী ও যুদ্ধকালীন সময়ের ক্ষতিপূরণ আদায় করা, সর্বোপরি তাদের অন্যায় আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার প্রচেষ্টায় অত্যন্ত পরিশ্রম করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে, তাদের জন্য গৃহনির্মাণ করা হচ্ছে, তাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে সে উদ্দেশ্যে চাকরিতে ৩০ ভাগ কোটা রাখা হয়েছে। এছাড়া যুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অন্যায় ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই পারে সঠিক আলোর পথ দেখাতে। তাই আমাদের উচিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শানিত করা।
মুক্তিযোদ্ধা হাকিম আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সহ-সভাপতি ইসমত কাদির গামা, সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক মিয়া, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মোদাচ্ছের আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
পরে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১০ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব